রবিবার (২৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ওয়াসিমের সহপাঠীরা।পরে তারা সড়ক অবরোধ করেন। পরবর্তীতে দুপুর দেড়টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন তারা।
এসময় ‘দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’, ‘ওয়াসিম হত্যার বিচার চাই’, ‘আমার ভাই মরলো কেনো, বিচার চাই, নিরাপদ সড়ক চাই’ এরকম অজস্র স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তারা ওয়াসিমের হত্যার প্রতিবাদে বাসচালক ও হেলপারের ফাঁসি কার্যকর, ঘাতক ‘উদার’ পরিবহন বাসের রুট পারমিট বাতিল, লাইসেন্স বাতিলসহ, নিরাপদ সড়কের দাবি জানায়।
উল্লেখ্য, ওয়াসিমসহ ১১ জন শিক্ষার্থী হবিগঞ্জের দেবপাড়ায় বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। শনিবার বিকালে ফেরার পথে তারা ময়মনসিংহ-সিলেট রোডের উদার পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। ভাড়া নিয়ে বাসের হেলপারের সঙ্গে তাদের বিবাদ হয়। একপর্যায়ে বাসের হেলপার ওয়াসিমসহ আরেকজনকে ধাক্কা দেন। এতে ওয়াসিম বাস থেকে পড়ে যান এবং চাকা তার পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা রাকিব হোসেন নামে আরেকজন শিক্ষার্থী বাস থেকে লাফ দিয়ে নামেন।
ওয়াসিমকে দ্রুত প্রাইভেটকারে করে সিলেট এম এ জি ওসমানী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়। রাকিব হোসেনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা বাসটি আটক করেন। ততক্ষণে বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। পরে মৌলভীবাজার সদর থানা পুলিশ বাসটি জব্দ করে।