আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে পাবনার ১৩২, টাঙ্গাইলের ৩১, যশোরের ২, নড়াইলের ২, সাতক্ষিরার ৬, খুলনার ৩৫, রাজবাড়ীর ৩৪, ফরিদপুরের ২৮, বগুড়ার ১৫, নাটোরের ২৭, সিরাজগঞ্জের ৬৯, রাজশাহীর ৬২, জয়পুরহাটের ৮২ ও নওগাঁর ৭০ জন চরমপন্থী আত্মসমর্পণ করেন। তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি এমএল লালপতাকা, জনযুদ্ধ, সর্বহারা, কাদামাটি পার্টি ও নকশালের আঞ্চলিক নেতা ও সদস্য। আত্মসমর্পণকালে চরমপন্থীরা বিভিন্ন ধরণের ৬৮টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৫৭৫টি দেশীয় অস্ত্র জমা দেয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘১৯৯৯ সালেও আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিভিন্ন চরমপন্থী দলের দুই হাজার সদস্য আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন। আজ যারা আত্মসমর্পণ করলেন এবং যারা এখন আত্মসমর্পণ করেননি, যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা আত্মসমর্পণ করলে তাদেরও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পুলিশ-গোয়েন্দা সংস্থা আর আগের মতো নেই। তারা বর্তমানে জলদস্যু, বনদস্যু, চরমপন্থী, মাদক সন্ত্রাসীদের দমন করতে সক্ষম। যে কোনও ধরণের নাশকতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নির্মূলে পুলিশ বাহিনী সোচ্ছার। পাবনার এই অনুষ্ঠানে যে সব চরমপন্থি আত্মসমর্পণ করলেন, তাদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষিত। তাদের যোগ্যতার ভিত্তিত্বে প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার নির্দেশনা দিয়েছেন।’
পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন পুলিশের আইজি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি পাবনা ১ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি পাবনা-৩ আসনের এমপি মকবুল হোসেন, পররাষ্ট্র সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য, পাবনা-৫ আসনের সাংসদ গোলাম ফারুক খোন্দকার প্রিন্স, পাবনা-২ আসনের সাংসদ আহমেদ ফিরোজ কবির, রাজশাহীর বাঘার সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামূল হক, পাবনা-সিরাজগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের সাংসদ নাদিরা আক্তার জলি ও পাবনা জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন। এ সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি মাহবুব হোসেন, ডিআইজি এম খুরশিদ আলম, একেএম হাফিজ ও র্যাবের কর্নেল জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।