সাংবাদিক সম্মেলনে আবু মো. মুসা সরকার বলেন, ‘নির্বাচনি বিধি অনুযায়ী নির্বাচনি এলাকার মোট ভোটারের ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থক হিসেবে ঠিকানা ও স্বাক্ষরসহ নামের তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। এই হিসেবে আমি সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তিন হাজার ভোটারের স্বাক্ষর সম্বলিত তালিকা জমা দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন এর মধ্যে পাঁচ জনকে যাচাই করার জন্য জানায়। আজ মঙ্গলবার সকালে আমার সমর্থক ধোপাখলা এলাকার ভোটার আনোয়ার হোসেনকে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক টিটুর কর্মী বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক টিটুর বাসায় তাকে নিয়ে গিয়ে তাকে বেশ কিছু অর্থের লোভ দেখানোসহ ভয় ভীতি দেখায় এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে সমর্থক হিসেবে স্বাক্ষরের কথা অস্বীকার করার জন্য বলে। পরে আনোয়ার হোসেন কৌশলে এলাকা এসে আমাকে বিষয়টি জানায়। এদিকে একই প্রস্তাব নিয়ে ওই এলাকার ভোটার আম্বিয়া খাতুনের বাসায় মঙ্গলবার দুপুরে যায় ইকরামুল হক টিটুর কর্মী নূরে আলম। আম্বিয়া খাতুনকেও অর্থেও লোভ দেখানোসহ স্বাক্ষর করেছে এই কথা অস্বীকার করার জন্য বলা হয়। এই খবরও আমার কাছে চলে আসে।’
আবু মো. মুসা সরকার আরও বলেন, ‘প্রার্থিতা বাতিল করার পাঁয়তারা হিসেবে আমার সমর্থকদের ওপর কৌশলে চাপ সৃষ্টি করেছেন মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু। তিনি প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। কোনও অবস্থাতেই আমি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবো না।’ এসময় আনোয়ার হোসেন ও আম্বিয়া খাতুনসহ কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে জানতে নূরে আলমের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি প্রথমে রিসিভ করে পরে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ। জনসমর্থন হারিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু মো. মুসা সরকার আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছেন।’