অবরোধের কারণে সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে বিকাল ৫টায় অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলনের ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও কোনও সমাধান আসেনি। আর এ কারণে এখন সড়ক অবরোধ করে অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। এর আগে সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা অবস্থান নিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের কারণে বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কে যানজটে বিপাকে পড়েন সাধারন যাত্রীরা। অনেক যাত্রীকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হতে দেখা যায়। নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হন।
উল্লেখ্য. ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোয় প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিক্রিয়ায় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে কটূক্তি করেন। এর প্রতিবাদে উপাচার্যের বক্তব্য প্রত্যাহারসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। গত ২৯ মার্চ উপাচার্য তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এতে শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট না হয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।