রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যার তীরে অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানরূপগঞ্জের তারাব এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গড়ে ওঠা প্রায় অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে একটি পাকা দোতলা ভবন, চার থেকে পাঁচটি স মিল, কয়েকটি কাঠের দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, কাঁচাপাকা ও টিনের বসতঘর রয়েছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান চলে। এ সময় উচ্ছেদ করা অবৈধ দোকানপাট থেকে জব্দ করা কাঠ, টিন, বালুসহ বিভিন্ন মালামাল দুই লাখ বিশ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ। পুলিশ ও আনসার সদস্য ছাড়াও বিপুল সংখ্যক উচ্ছেদকর্মী এ অভিযানে অংশ নেন।
বিআইডব্লিউটিএ'র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘নদীর সীমানা পিলারের ভেতরে এবং আইন অমান্য করে নদীর সীমানার দেড়শ ফুটের ভেতরে গড়ে ওঠা প্রায় অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি পাকা দোতলা ভবন, চার-পাঁচটি স মিল, কয়েকটি কাঠের দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কাঁচাপাকা ও টিনের বসতঘর রয়েছে। নদী অবৈধ দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।’
বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের উপ-পপরিচালক মো. শহীদুল্লাহ জানান, ‘উচ্ছেদের আগে অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ও মালামাল সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এরপরও তারা সরিয়ে না নেওয়ায় অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। রূপগঞ্জের তারাব সুলতানা কামাল সেতু থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত শীতলক্ষ্যার উভয় তীরে উচ্ছেদ অভিযান চলবে।’
তিনি জানান, জেলা প্রশাসন, ভূমি কর্তৃপক্ষ ও বিআইডব্লিউটিএ’র যৌথ সমন্বয়ে নদীর সীমানা সংক্রান্ত পুনঃজরিপ হয়েছে। এ অনুযায়ী সেখানে আবার সীমানা পিলার স্থাপন করা হবে। সেই জরিপ অনুযায়ী নদীর জায়গা দখলমুক্ত করা হচ্ছে।