আদালতে তানিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিলো হেলপার লালন

স্বর্ণলতা বাসের হেলপার লালন মিয়াকিশোরগঞ্জের মেয়ে নার্স শাহীনুর আক্তার তানিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ‘স্বর্ণলতা’ বাসের হেলপার মো. লালন মিয়াও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুনের খাস কামরায় ঘটনার দায় স্বীকার করে এ জবানবন্দি দেয় সে। দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা ধরে সে তানিয়াকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা করে। জবানবন্দির পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে চলন্ত বাসে তানিয়াকে হত্যা ও ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক  জবানবন্দি দিয়েছিল ‘স্বর্ণলতা’ বাসের চালক নূরুজ্জামান নূরু। মামলার দ্বিতীয় আসামি লালন।

দুপুর কঠোর গোপনীয়তা ও পুলিশি পাহারায় লালনকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে সে জবানবন্দি দেয়।

গত ৮ মে নূরুসহ পাঁচজনকে আট দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। বিমান্ডের পাঁচ দিনের মাথায় প্রথমে পুলিশ ও পরে আদালতে সবকিছু স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় নূরু। আজ জবানবন্দি দিল হেলপার লালন। সে গাজীপুরের কাপাসিয়ার বীর উজুলি গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে। বাসচালক নূরুজ্জামানের মতো লালনও আদালতে দেওয়া তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তানিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনায় তিনজন জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ লালনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, ‘তার জবানবন্দিতে মামলার সার্বিক বিষয়টি আরও স্পষ্ট হলো। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’

গত ৬ মে রাতে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের পিরিজপুর রুটে চলাচলকারী স্বর্ণলতা ভিআইপি পরিবহন লি.-এর একটি বাসে ইবনে সিনা হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহীনূর আক্তার তানিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। তিনি কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মো. গিয়াসউদ্দিনের মেয়ে।

আরও পড়ুন- 

জবানবন্দিতে যা বললো ড্রাইভার নুরু



হেলপারকে বাস চালাতে দিয়ে প্রথমে তানিয়াকে ধর্ষণ করে ড্রাইভার

বাবার সঙ্গে আর ইফতার করা হবে না তানিয়ার

কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা: আটক ৫ জনকে ৮ দিনের রিমান্ড

কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে নার্সকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, আটক ২

‘তানিয়াকে ধর্ষণের আলামত স্পষ্ট, মাথার পেছনে আঘাত করে হত্যা’