কাপ্তাইয়ে জোড়া খুনের মামলায় দুই ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

রাঙামাটি

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নে জোড়া খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৫ মে) রাইখালী ইউপি চেয়ারম্যান সায়া মং মারমা ও চিৎমরম ইউপি চেয়ারম্যান ক্যাইসা অং মারমা জেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানো নিদের্শ দেওয়া হয়।

রাঙামাটি কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আমির হোসেন জিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রাইখালীর জোড়া খুনের ঘটনায় এজাহারভুক্ত এই দুই আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এবং পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

এ ব্যাপারে চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘রাইখালীতে ডাবল মার্ডারের ঘটনায় দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে আটকের খবর শুনেছি। তারা দুজনই ডাবল এজাহারভুক্ত আসামি।’

উল্লেখ্য, ৪ ফেব্রুয়ারি রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ের রাইখালী ইউনিয়নের কারিগর পাড়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিকের রাইখালী ইউনিয়নের সংগঠক মংসানু মারমা (৪০) ও মো. জাহিদ হোসেন (২২) নামের এক ব্যক্তি।

এই ঘটনার পরদিন নিহত মংসানু মারমার শ্বশুর আপ্রু মারমা বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনকে আসামি করে চন্দ্রঘোনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন ২ নং রাইখালী ইউপি চেয়ারম্যান সায়া মং মারমা ও ৩ নং চিৎমরম ইউপি চেয়ারম্যান ক্যাইসা অং মারমা।

এই ঘটনায় নিহতদের নিজেদের কর্মী দাবি করে হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)-কে দায়ী করেছে ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগ।