বগুড়ার সোনাতলায় প্রতিপক্ষের মারপিটে আহত স্কুলছাত্রের মৃত্যু, আটক ৫

স্মরণ মিয়াবগুড়ার সোনাতলার চকনন্দন গ্রামে ঘাস কাটা নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের মারপিটে আহত দশম শ্রেণির ছাত্র স্মরণ মিয়া (১৬) রবিবার (১৯ মে) সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে মারা গেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে। বিকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি।

সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আটকরা হলেন– সোনাতলা উপজেলার চকনন্দন গ্রামের মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে রেজাউল করিম (৪৮), আবদুস সামাদের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৪০), আমিরুল ইসলামের ছেলে সৈকত ইসলাম (১৭), সাবু মণ্ডলের স্ত্রী কোহিনুর বেগম (৩৫) ও আবেদ আলী মণ্ডলের স্ত্রী মেরিনা বেগম (৪০)।

পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানায়, সোনাতলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের চকনন্দন গ্রামের শাহিন মোল্লা প্রতিবেশী খোকা মণ্ডলের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকায় ৬ শতক জমি লিজ নিয়ে সেখানে বিদেশি ঘাস চাষ করেন। গত ১৬ মে বেলা দেড়টার দিকে শাহিন মোল্লার স্ত্রী চামেলী বেগম ওই জমিতে ঘাস কাটতে যান। তখন জমির মালিক খোকা মণ্ডলের ভাতিজা রঞ্জু মিয়া ঘাস কাটতে বাধা দেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে চামেলী বেগমকে বেদম মারপিট করা হয়। খবর পেয়ে তার ছেলে স্থানীয় সবুজ সাথী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র স্মরণ মিয়া ও আত্মীয়-স্বজন সেখানে যান। দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে প্রতিবেশীরা তাদের শান্ত করেন।

পরে চামেলীর ছেলে স্মরণ মিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর হামলা চালায়। মারপিটে সে গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ মে রবিবার সকালে স্মরণ মিয়া মারা যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে বিকালে তার লাশ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরী জানান, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা হলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।