ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানায়, গোয়েন্দা পুলিশ সদস্য খাদেমুল ইসলামের স্ত্রী গর্ভে মৃত সন্তান নিয়ে সেবা ক্লিনিকে ভর্তি হন দুপুরে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার মৃত বাচ্চা অপসারণ করা হয়। এরপর গোয়েন্দা পুলিশের সাত-আট সদস্য ওই ক্লিনিকে গিয়ে অসদাচরণ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা চিকিৎসক ও এক কর্মচারীকে মারধর করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান ও চিকিৎসক নেতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ঘটনায় আহত ওই ক্লিনিকের কর্মী নূর ইসলাম বাবু বলেন, ‘মারধরের একপর্যায়ে চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন এবং আমার শার্ট ছিঁড়ে যায়। এ সময় ক্লিনিকে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। ডাক্তারদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আর কোনও অভিযোগ নেই।’
মারধরের শিকার দুই চিকিৎসক ময়েজ উদ্দিন ও ইসমাইল হোসেন জানিয়েছেন, চিকিৎসক নেতাদের উপস্থিতিতে পুলিশের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়ায় বিষয়টি মীমাংসা হয়।