অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, জেলার আদর্শ সদর উপজেলার ঝাগরজুলি মুক্তি সিএনজি পাম্পের পেছনে হৃদগড়া এলাকায় ফরহাদ আলীর মাছের খামার। এখানে ৩০ একর জমিতে গত ১০ বছর যাবৎ মাছের চাষ করে আসছেন তিনি। তার মাছের ঘেরের পশ্চিম দিকে অবস্থিত ‘ময়না বল সাবান’ নামে একটি সোডা ও সাবানের ফ্যাক্টরি। ওই ফ্যাক্টরির উচ্চমাত্রার বিষাক্ত রাসায়নিক কেমিক্যাল গেল কয়েক মাস আগে রাতের আঁধারে তার মাছের ঘেরে ফেলে লাখ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলা হয়। ইতোপূর্বে সাবান ফ্যাক্টরির মালিক শাহজাহান সিরাজকে কয়েকবার বলার পরও কেমিক্যাল ফেলা বন্ধ করেননি তিনি। এরই ধারবাহিকতায় শনিবার রাতে সাবান ফ্যাক্টরির বিপুল পরিমাণ ক্ষতিকার উচ্চমাত্রার কেমিক্যাল ফেলা হয় ওই মাছের ঘেরে। কেমিক্যালের কারণে পানি বিষাক্ত হয়ে রুই, কাতল, বোয়ালসহ দেশীয় বিভিন্ন জাতের অন্তত ৫০০ মণ মাছ মারা যায়। যার আনুমানিক মূল্য ২৫ লাখ টাকা বলে জানান মালিক ফরহাদ আলী।
অভিযোগের বিষয়ে ওই সাবান ফ্যাক্টরির মালিক শাহজাহান সিরাজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সাবান ফ্যাক্টরির কেমিক্যালের কারণে যদি মাছ মারা গিয়ে থাকে তাহলে বিষয়টি আমরা স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে নেব।’
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সাবান ফ্যাক্টরির বিষাক্ত কেমিক্যালের কারণেই মাছগুলো মারা গেছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’