বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী জানান, গত ২৯ মে ও ১২ জুন নাসা কর্তৃপক্ষ দুটি পৃথক মেইলের মাধ্যমে শাবির টিম অলিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে শাবির টিম অলিককে নাসায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। যেখানে আগামী ২১, ২২ ও ২৩ জুলাই নাসার বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন টিম অলিকের সদস্যরা।
এ বিষয়ে টিম অলিকের দলপতি আবু সাবিক মাহদি বলেন, ‘গত ২৯ মে ও ১২ জুন দুটি আলাদা মেইলের মাধ্যমে আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে নাসা। মেইলে আরও জানানো হয়েছে, আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে আমাদের নাসায় উপস্থিত হতে হবে। ২১, ২২ ও ২৩ জুলাই নাসার বিভিন্ন কর্মসূচিতে আমরা অংশ নেবো। ২১ জুলাই রকেট ফ্যালকন-৯-এর সিআরএস-১৮ মিশনের মহাকাশে উৎক্ষেপণ সরাসরি দেখতে পারবো আমরা। এছাড়া ২২ ও ২৩ জুলাই অন্যান্য অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, “নাসায় প্রদত্ত তথ্য থেকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এপ্লিকেশন ‘লুনার ভিআর’ তৈরি করে বেস্ট ডেটা ইউটিলাইজেশন ক্যাটাগরিতে বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করে শাবিপ্রবির টিম অলিক। এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে চাঁদে পরিবেশ কেমন, তাপমাত্রা কেমন থাকে, চাঁদের রং পরিবর্তন হওয়া, চাঁদে যা আছে যেসব এর আগে কেউ কখনও দেখেনি-চাঁদ থেকে সূর্যের ছবি কেমন হয় ইত্যাদি ব্যাপারগুলো মিলে এই প্রজেক্ট ছিল। যা বেস্ট ডেটা ইউটিলাইজেশন ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেভ।”
টিম অলিকের সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এস এম রাফি আদনান, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কাজী মাইনুল ইসলাম ও আবু সাবিক মেহেদী ও একই বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান।
উল্লেখ্য, গতবছরের শেষের দিকে নাসা আয়োজিত এই স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০১৮ এ টিম অলিক অংশ নেয়। যেখানে বিশ্বের ৭৯টি দেশ থেকে বাছাইকৃত ২৭২৯টি টিমকে পেছনে ফেলে শীর্ষ চারে স্থান করে নেয় টিম অলিক। ওই সময় থেকেই মূলত টিম অলিকের নাসার উদ্দেশে পথচলা শুরু।