শামসুল হক জানান, ভোট দিয়ে বাইরে বের না হতেই তাকে মারপিট করে তার পরিধেয় পাঞ্চাবি ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। পুলিশের সামনেই কেন্দ্রের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে মোবাইল টিম নিয়ে পরিদর্শনে আসেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। মারপিটের বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ তিনি আমলে না নিলেও পুলিশ পাহারায় দ্রুত স্থান ত্যাগে সাহায্য করেন।
শামসুল হক আরও জানান, ভোট দেওয়ার আগে কেন্দ্রে ঢুকেই তিনি লাঞ্ছিত হওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন। এজন্য তিনি নিরাপত্তা চেয়েছিলেন ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার শামসুর রহমানের কাছে।
জানা যায়, এ কেন্দ্রের ভোটার সরকারদলীয় নৌকার প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মতিন তালুকদারের বাড়ি দশশিকা গ্রামে। পার্শ্ববর্তী চর-দশশিকা গ্রামে প্রকৌশলী শামসুল হকের বাড়ি হলেও তিনি এ কেন্দ্রের ভোটার। নৌকার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তাকে আবদুল মতিন তালুকদারের সমর্থকরা লাঞ্ছিত করেছে বলে তার অভিযোগ ও আক্ষেপ।
এ বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শামসুর রহমান বলেন, ‘ভোট দেওয়ার সময় তিনি হামলার শঙ্কার কথা বললে আমি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।’
মোবাইল ট্রাকিং ফোর্সের সঙ্গে আসা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বেলকুচির এসিল্যান্ড (সহকারী কমিশনার, ভূমি ) আফসানা ইয়াসমিন বলেন, ‘কেন্দ্রে এসে বিশৃঙ্খলাকারীদের কাউকেও খুঁজে পাইনি। তারপরেও উপজেলা রিটানির্ং অফিসার বরাবর তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি।’
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোফাখুরুল ইসলাম ও কামারখন্দ থানার উপ-পরিদর্শক দয়াল ব্যানার্জি বলেন, ‘দ্রুত কেন্দ্রে এসে তাকে অন্যত্র পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’