মৌলভীবাজারে মাদ্রাসাছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা

মৌলভীবাজারমৌলভীবাজারের কাগাবলা ইউনিয়নে অথানগিরি গ্রামে পিতৃহীন এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে (১২) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে দুই জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার (২১ জুন) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন।

আসামিরা হলেন- একই এলাকার ওয়াতির আলীর ছেলে জাহিদ মিয়া (৩০) ও মৃত রব্বান মিয়ার ছেলে রাব্বি মিয়া (২৮)। ভিকটিম সদর উপজেলার একটি মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে।

নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীর মা জানান, গত ১৫ জুন মেয়েকে দাদির কাছে রেখে আত্মিয়ের বাড়িতে রোগী দেখতে যান তিনি। ওইদিন গভীর রাতে দাদির পাশে ঘুমিয়েছিল ওই কিশোরী। এ সময় জাহিদ মিয়া ও রাব্বি মিয়া টিনের বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে। তারা দাদি ও ওই মেয়েটিকে বেঁধে ফেলে। পরে ঘর থেকে বের করে উঠানে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। মেয়েটি চিৎকার করতে চাইলে তার মুখ বেঁধে রাখে। একপর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সারারাত অজ্ঞান অবস্থায় প্রচুর রক্তকরণ হয়। ভোররাতে জ্ঞান ফিরলে সে ঘরে ঢুকে দাদির বাঁধন খুলে তার মাকে কল দেয়। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

কিশোরীর পরিবার অভিযোগ করেছে, আসামী রাব্বীর চাচা খুরশেদ মিয়া ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এছাড়া মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন শুক্রবার রাতে জানান, ‘থানায় মামলা হয়েছে। আমরা আসামিদের ধরতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘মেয়েটি ঘটনার দিন থেকে এখনও চিকিৎসা নিচ্ছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করেছি। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি।’