‘উপবন’-এর বগি উল্টে নিহত ৬, উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ৬ ইউনিট

দুর্ঘটনার পর উপবন এক্সপ্রেস

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় সেতু ভেঙে আন্তঃনগর ‘উপবন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের কয়েকটি বগি পড়ে যাওয়ার ঘটনায় ছয় জন নিহত এবং প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কাজ করছে। ঢাকা যাওয়ার পথে রবিবার (২৩ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বরমচাল রেলক্রসিং এলাকার অদূরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।  

রবিবার (২৩ জুন) রাত তিনটার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কুলাউড়া স্টেশন ম্যানেজার অপেন কুমার সিং।

এসময় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় দুটি বগি সেতু ভেঙে খালের পানিতে উল্টে পড়ে গেছে। এছাড়া আরও তিনটি বগি স্থলভাগের সীমানায় লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছে। মোট পাঁচটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দুর্ঘটনার পর উপবন এক্সপ্রেস

এর আগে, রাত দুইটার দিকে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল পাঁচ জন ব্যক্তি নিহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছিলেন।

রাত সাড়ে ১২টার দিকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার উদয় কুশল সিংহ দুর্ঘটনায় দুটি বগি উল্টে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন।   

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ভারী যান চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রেনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন ঢাকাগামী যাত্রীরা। ফলে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি সিলেট থেকে ছেড়ে যায়।

এদিকে, রাত পৌণে ৪ টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চার জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ১৫/২০ জন আহত রয়েছেন।’

অন্যদিকে উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া স্থানীয়রা বলছেন, তাদের হিসাব মতে ১০/ ১৫ জনের মতো মানুষ মারা গেছেন। মৃতের সংখ্যা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।

সিলেট ও কুলাউড়া থেকে দুইটি উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলের দুইদিকে অবস্থান করেছে। তবে অন্ধকার ও ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারেনি তারা।

এছাড়াও ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বিজিবির নিয়মিত টহল দলের সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন। 

আরও খবর: 
সেতু ভেঙে খালে ‘উপবনে’র দুই বগি, নিহত ৫