সাগর থেকে ভেসে এলো কনটেইনার

রামনেওয়াজ মৎস্য ঘাটে ভেসে আসা কনটেইনারসাগর থেকে ভাসতে ভাসতে ভোলার মনপুরার মেঘনায় এসে পৌঁছায় তিনটি কনটেইনার। এর মধ্যে একটি কনটেইনার উপজেলার রামনেওয়াজ মৎস্য ঘাটের পশ্চিম পাশে এবং অপর দুটি কনটেইনার মনপুরার বিচ্ছিন্ন ডালচরের উত্তর পূর্ব কোনায় রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। তবে ডালচরের কনটেইনার দুটি রাতের জোয়ারে হাতিয়ার দিকে চলে গেছে বলে জানান মনপুরা থানার ওসি ফোরকান আলী। তিনি হাতিয়া থানাকে অবহিত করেছেন বলেও জানান।

বুধবার (৩ জুলাই) সকালে রামনেওয়াজ মৎস্য ঘাটে স্থানীয়রা কনটেইনারটি শক্ত দড়ি দিয়ে মেঘনা পাড়ে বেঁধে রাখেন। এর আগে মঙ্গলবার বিকালে রামনেওয়াজ মৎস্য ঘাটের পশ্চিম পাশে মেঘনা পাড়ে ব্লক বাঁধের ওপর এটি ভাসতে ভাসতে এসে আটকে যায়।

জানা যায়, গত রবিবার সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে করিম শিপিং লাইনের কনটেইনারবাহী জাহাজ ‘কেএসএল গ্লেডিয়েটর’ পণ্যভর্তি ৮৩ কনটেইনার নিয়ে চট্রগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনালের উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে হাতিয়া চ্যানেলে লাল বয়ার কাছে পৌঁছালে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে ৪৩ কনটেইনার ছিটকে সাগরে পড়ে যায়।রামনেওয়াজ মৎস্য ঘাটে ভেসে আসা কনটেইনার

স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয়দের ধারণা, হাতিয়া চ্যানেলে জাহাজ থেকে ছিটকে পড়া ৪৩ কনটেইনারের একটি হতে পারে এই কনটেইনার।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল্লাহ পাটোয়ারী জুয়েল জানান, ‘বুধবার রামনেওয়াজ ঘাটে গিয়ে দেখি একটি কনটেইনার উপজেলার রামনেওয়াজ মৎস্য ঘাটের পূর্বপাশে মেঘনা পাড়ে ব্লকের ওপর পড়ে রয়েছে। কনটেইনারটি সামনে ‘TRITON INTERNATIONAL’ সিল মারা রয়েছে। এছাড়াও কাস্টমসের অনুমোদনের সিল রয়েছে। কনটেইনারটি নিচে ও ওপরের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। কনটেইনারের ভেতরে বস্তাভর্তি তুলা দেখা যায়।’

মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফোরকান আলী জানান, ‘ খবর পেয়ে একজন এসআই ঘটনাস্থলে পাঠাই। এছাড়া চট্রগ্রামের বন্দর থানাকে বিষটি মুঠোফোনে অবহিত করা হয়েছে।’