ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, সেতুটির অবকাঠামোসহ ৮৫ ভাগ মূল কাজ শেষ হয়েছে। সংযোগ সড়কসহ অন্যান্য কাজ চলছে। পুরাতন সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি থাকায় যানবাহনের নিরাপত্তার স্বার্থেই সেতুটি আগাম খুলে দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শাহবাজপুর প্রথম তিতাস সেতুটি ১৯৬৩ সালে নির্মিত। সে অনুযায়ী, সেতুটির বয়স অন্তত ৪৬ বছর। সেতুটি পুরানো হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। গত ১৮ জুন সেতুটির পূর্ব অংশের একটি রেলিং এবং ফুটপাতের একাংশ ধসে তিতাস নদীতে পড়ে যায়। এরপর থেকে সেতুটির ওপর দিয়ে মাঝারি এবং ভারীসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় সড়ক বিভাগ। পরে পুরোনো সেতুটি মেরামত করার পর আবারও ঝুঁকি নিয়ে চলছিল যানবাহন। এরই মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর পাশেই নবনির্মিত দ্বিতীয় তিতাস সেতুটির ৮৫ ভাগ কাজ শেষ হয়। পুরাতন সেতুটির বেহাল অবস্থা থাকায় শনিবার রাতে নবনির্মিত সেতুটি যান চলাচলের জন্যে খুলে দেয় সড়ক বিভাগ।
মোটরসাইকেল চালক মো. শাকিল মিয়া বলেন, ‘গত ১৮ জুনের পর থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া অনেক কষ্টকর ছিল। সেতুটি চালু হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। তবে সংযোগ সড়ক দ্রুত চালু করা হোক।’
মাইক্রোবাস চালক শাহ আলম বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে সেতুটি চালু হওয়ায়। তবে সংযোগ সড়ক চালু না হওয়ায় কিছুটা বিড়ম্বনা আছে। সেটা দ্রুত শেষ করলে ভালো হবে।’
এনা পরিবহনের বাস চালক আব্দুল সালাম বলেন, ‘সেতুর ওপর দিয়ে বাস চলছে, এতে আমরা খুশি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হোসেন সরকার জানান, ঝুঁকির কথা বিবেচনা করেই তড়িঘড়ি করে সেতুটি পরীক্ষামূলকভাবে যানবাহন চলাচলের জন্যে খুলে দেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক বিভাগ। বলা যায় এটি পরীক্ষামূলক।
প্রসঙ্গত, নবনির্মিত তিতাস সেতুটির দৈর্ঘ্য ২১৯ মিটার এবং প্রস্থ ১৫ মিটার। সেতুটিতে ছয়টি স্প্যান এবং আটটি পিলার রয়েছে।