রাজশাহীতে বগি লাইনচ্যুত

আব্দুলপুর ও ঈশ্বরদী থেকে ছেড়েছে ট্রেন

লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার করা হচ্ছেচারঘাটে তেলবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ এখনও বন্ধ রয়েছে। তবে যে ট্রেনগুলো বুধবার (১০ জুলাই) রাতে রাজশাহী স্টেশনে যেতে পারেনি সেগুলো সকালে নাটোরের আব্দুলপুর ও ঈশ্বরদী জংশন থেকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে রওনা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী রেল স্টেশন মাস্টার আবদুল করিম বলেন, ‘লাইনচ্যুত বগিগুলোর উদ্ধার কাজ শেষ হয়নি। যে কারণে রেললাইনও মেরামত হয়নি। ফলে রাজশাহী থেকে সকালের আন্তঃনগর ট্রেন বনলতা, সাগরদাঁড়ি, সিল্কসিটি, কপোতাক্ষ ও বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। তবে এই ট্রেনগুলো নাটোর ও ঈশ্বরদী থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ছাড়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আশা করা যায়, রাজশাহী থেকে বিকালের পদ্মা ট্রেন রাত আটটার দিকে ঢাকার পথে ছেড়ে যেতে পারবে। বৃষ্টির কারণে উদ্ধার কাজে বিঘ্ন ঘটেছে। রাজশাহী থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করছে না। তবে যে ট্রেনগুলো রাতে রাজশাহী স্টেশনে আসতে পারেনি সেগুলো আবার সকালে নাটোরের আব্দুলপুর ও ঈশ্বরদী জংশন থেকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে রওনা হয়েছে।’
এদিকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক খন্দকার শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার রাতে ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন আসলেও বৃষ্টির জন্য উদ্ধার কাজ শুরু করতে দেরি হয়। এখন বৃষ্টি না হলে দ্রুতই উদ্ধার কাজ শেষ হবে। এতে বিকেল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এরপরও যতদ্রুত সম্ভব উদ্ধার কাজ শেষ করে রাজশাহী-ঢাকা রেলপথ আবার স্বাভাবিক করার জোরালো চেষ্টা চলছে।’
প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজশাহীর চারঘাট হলিদাগাছির দিঘলকান্দিতে তেলবাহী ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে এতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তেলবাহী ওই ট্রেনটি খুলনা থেকে রাজশাহীর হরিয়ানের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি ঈশ্বরদী হয়ে রাজশাহীর দিকে যাচ্ছিলো। পথে হলিদাগাছিতে লাইনচ্যুত হয়।
ট্রেনটির মাঝখানের বগিগুলো লাইনচ্যুত হয়। পরে আটটি বগি রেখে সামনের বগিগুলো নিয়ে তেলবাহী ওই ট্রেনটি বুধবার রাতেই রাজশাহীর হরিয়ানা রেল স্টেশনে পৌঁছায়। রাত পৌনে ১০টার দিকে উদ্ধারকারী ট্রেন সেখানে পৌঁছে। এদিকে ঘটনার পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।