চার দিনেও চালু হলো না বান্দরবানের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বান্দরবান শহরসহ নিম্নাঞল প্লাবিতগত সাত দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে বান্দরবানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলার দশ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে গত মঙ্গলবার (৯ জুলাই)  বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের চট্টগ্রামের বাজালিয়ায় প্রধান সড়ক ডুবে যাওয়ার পর থেকে এখনও বান্দরবানের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

অবিরাম বর্ষণের কারণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি প্রায় ৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে বলে জানান বান্দরবানের মৃত্তিকা ও পানি সংরক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, সাঙ্গু নদীর পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করেছে। যার কারণে বান্দরবানের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।বান্দরবান শহরসহ নিম্নাঞল প্লাবিত

শুক্রবার (১২ জুলাই) সকাল থেকে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, একটানা বৃষ্টিতে নদীর পানি বেড়ে শহরের আর্মিপাড়া, ইসলামপুর, অফিসার্স ক্লাব, বনানী সমিল এলাকা, শেরেবাংলা নগর, সাঙ্গু নদীর তীরবর্তী এলাকাসহ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় কাঁচা ঘর ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী লোকজন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়াও জেলার লামা, আলীকদম ও থানচি, রুমা উপজেলায় নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলেও জানা গেছে।

এদিকে চার দিন ধরে বাজালিয়ায় প্রধান সড়ক ডুবে থাকায় সারা দেশের সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বান্দরবান সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সজিব আহমেদ বলেন, ‘বান্দরবানের দুটি পয়েন্ট পানিতে ডুবে যেত। একটি পয়েন্ট ইতোমধ্যে উঁচু করা হয়েছে। চলতি বছরে বাজালিয়ার সড়কটি উচু করার কথা ছিল। কিন্তু গত বছরের অক্টোবর মাসে এ সড়কটি আমরা সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছি। এখন বাকি কাজ সেনাবাহিনী করবে। এরপরও আমরা সেনাবাহিনীর কাছে সড়কটি আগেই উঁচু করে দেওয়ার অনুরোধ করেছি।’বান্দরবান শহরসহ নিম্নাঞল প্লাবিত

বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম বলেন, ‘নিচু এলাকায় প্লাবিত পরিবারগুলোকে পার্শ্ববর্তী প্রাইমারি স্কুলে আশ্রয় নিতে বরঅ হয়েছে। নদীর তীরবর্তী ও পাহাড়ের পাদদেশে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাসরত পরিবারগুলোকে সরে যেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং ছাড়াও প্রচারণা চালানো হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের নিয়মিত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ছাড়াও নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’ তিনি জানান, ইতোমধ্যে জেলায় পাহাড় ধসের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও প্লাবিত স্থানের প্রায় ১২শ পরিবারকে ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।