দুপচাঁচিয়ায় শিশুকে নদে ফেলে হত্যা, সৎ মায়ের স্বীকারোক্তি

বগুড়া

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার ধাপসুখানগাড়ি গ্রামে শিশু আশেদুল ইসলাম আশিকের (৮) হত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছেন সৎ সা জেমি খাতুন। সোমবার (১৫ জুলাই) বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। পরে তাকে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়।

এর আগে, এই ঘটনায় রবিবার রাতে শিশুর মা আশিক নূরে আকতার বাদী হয়ে জেমির বিরুদ্ধে মামলা করেন।

জানা গেছে, দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের ধাপসুখানগাড়ির মোমিন প্রামানিক ২০০৮ সালে আশিক নুরে আকতারকে বিয়ে করেন। এ সংসারে আশিকের জন্ম হয়। আশিকের বয়স যখন তিন বছর তখন মোমিন প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর গ্রামের খায়রুল ইসলামের মেয়ে জেমি খাতুনকে বিয়ে করেন। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহ হলে ৩-৪ বছর আগে তিনি প্রথম স্ত্রী আশিক নুরে আকতারকে তালাক দেন। এরপর আশিক নুরে আকতার তার ছেলে আশিককে সতীনের ঘরে রেখে ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ নেন। আশিক স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়তো।

শনিবার সকাল ৭টার দিকে আশিক পারাটা কেনার জন্য থানা বাসস্ট্যান্ডের দিকে হোটেলে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। দুপুরে বাড়ির কাছে নাগর নদে তার লাশ ভাসতে দেখা যায়।

এদিকে আশিকের মা আশিক নুরে আকতার ঢাকা থেকে ফিরে অভিযোগ করেন, সতীন জেমি খাতুন একমাত্র সন্তানকে হত্যা করেছে। রাতে নিহত শিশুর মা আশিক নূরে আকতার দুপচাঁচিয়া থানায় সতীন জেমির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেন। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শফিকুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জেমি তার সৎ ছেলে আশিককে নাগর নদে ফেলে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।