জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদকে তার নিজ বাড়ি পল্লী নিবাসের পাশেই লিচু বাগানে সমাহিত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় তার দাফন কাজ শেষ হয়। দলের নেতাকর্মীদের দাবি অনুযায়ী এবং তাদের খনন করা কবরেই এরশাদকে সমাহিত করা হলো।
এর আগে এরশাদকে কোথায় দাফন করা হবে তা নিয়ে মতবিরোধ ছিল। পরিবার থেকে তাকে ঢাকায় সেনানিবাসের কবরস্থানে দাফন করার কথা বলা হয়েছিল। তবে রংপুরের নেতাকর্মীরা তাকে রংপুরেই দাফনের দাবি তোলেন। অবশেষে আজ চতুর্থ জানাজার পর তাকে রংপুরে দাফনে সম্মত হন এরশাদের স্বজনরা।
এরশাদের ছোট ভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই চাচ্ছিলাম এরশাদকে রংপুরে সমাহিত করবো। তবে ভাবি (রওশন এরশাদ) বিভিন্ন কারণে চাচ্ছিলেন তাকে ঢাকায় দাফন করতে। তবে রংপুরের মানুষের আবেগ ও ভালোবাসার কারণে সর্বসম্মতভাবে আমরা তাকে এখানেই সমাহিত করার সিদ্ধান্ত নিই। ভাবিও এতে রাজি হন।’
মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে জাতীয় পার্টি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েকশ’ নেতা রংপুরে এসেছেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগ থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ জানাজায় শরিক হন। এরশাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রংপুর জেলা দোকান মালিক সমিতি নগরীর সব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট দুপুর ২টা পর্যন্ত বন্ধ রাখে। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন স্থানে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
রবিবার বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনে এরশাদের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ওই জানাজায় অংশ নেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদসহ মন্ত্রিসভার সদস্য এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। স্পিকারের পক্ষে সংসদের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সোমবার বাদ আসর বায়তুল মোকাররমে তৃতীয় জানাজা পড়ান ওই মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন- এরশাদকে রংপুরেই সমাহিত করা হবে: জিএম কাদের