কাপ্তাই বাঁধের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট দিয়ে ৯ হাজার কিউসেকের পাশাপাশি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট চালু রেখে টারবাইনের মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে আরও ২৪ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিগর্মন করা হচ্ছে। বর্তমানে কর্ণফুলী জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারটি ইউনিটে সর্বোচ্চ ১৬৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে।
কর্ণফুলী জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানিয়েছেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ছিল ১০৬ দশমিক ৩০ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ১৯ দশমিক ৯ ফুট বেশি পানি থাকায় নিগর্মন পথ খুলে দিয়ে পানির চাপ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢল নামতে থাকায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে।’
তিনি আরও জানান, পানির স্তর বাড়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাঁচটি ইউনিট চালু করা হলেও মঙ্গলবার বিকেলে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চারটি ইউনিট বর্তমানে সচল আছে।
উল্লেখ্য, রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কর্ণফুলী নদীকে ঘিরে কৃত্রিম এই বাঁধটি। ১৯৫৭ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৯৬২ সালে এর নির্মাণ শেষ হয়। এ বাঁধে ১৬টি জলকপাট সংযুক্ত ৭৪৫ ফুট দীর্ঘ একটি পানি নির্গমন পথ রয়েছে। ১৬টি জলকপাট প্রতি সেকেন্ডে ৫ লাখ ২৫ হাজার কিউসেক ফিট পানি নির্গমন করতে পারে।