চিলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম জানান, উপজেলা পরিষদের নিচতলায় পানি প্রবেশ করেছে। চরাঞ্চলের পাশাপাশি উপজেলা শহরের প্রায় প্রতিটি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ৭০-৮০টি পরিবারের ঘরবাড়ি।
বন্যা দুর্গতদের সার্বিক দুরবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘মানুষের এখন শুকনো খাবার আর বিশুদ্ধ পানি প্রয়োজন। মানুষ রান্না করার জায়গা পাচ্ছে না। তাই শুকনো খাবার না পেলে কষ্ট আরও বাড়বে।’
এদিকে রেললাইনের উভয় পাশে বন্যার পানি প্রবেশ করায় এবং দুর্গত লোকজন রেললাইনের ওপর আশ্রয় নেওয়ায় কুড়িগ্রাম-চিলমারী রেল যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে রেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় ম্যানেজার (ডিআরএম) মো. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘বন্যার পানিতে কুড়িগ্রাম-চিলমারী রেলপথের উলিপুর অংশের কয়েক জায়গা প্লাবিত হয়েছে। আরও কয়েক জায়গায় পানি রেলপথ ছুঁই ছুঁই করছে। এ অবস্থায় ওই রেলপথে ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। সেই বিবেচনায় কুড়িগ্রাম-চিলমারী রেলপথে ট্রেন আপাতত চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে তিস্তা-কুড়িগ্রাম ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’
জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাফিজুর রহমান জানান, ১৭ জুলাই পর্যন্ত কুড়িগ্রামের বন্যা দুর্গতদের জন্য ৫শ’ মেট্রিকটন চাল, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং নয় লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।