বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ সহায়তা তহবিল থেকে যেসব ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে তা খুবই অপ্রতুল। এছাড়া যমুনার দ্বীপচরের অনেক স্থানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। তাই ত্রাণ নিয়ে সেখানে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
জেলার সাতটি উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫৯টি এবং আটটি পৌরসভার মধ্যে সাতটি বন্যায় প্লাবিত হয়ে ৯০ হাজার পরিবারের কমপক্ষে পাঁচ লাখ মানুষ বন্যার পানিবন্দি হয়েছে। জেলার প্রায় অর্ধেক মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, জেলায় সবচেয়ে বেশি বন্যা আক্রান্ত হয়েছে ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা। ইসলামপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা বন্যার পানিতে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়েছিল। এছাড়া বকশীগঞ্জ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা ও সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বন্যাদুর্গত এলাকা ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ পরিদর্শন করে ত্রাণ বিতরণের কথা ছিল। তারা হেলিকপ্টার যোগে এসেও নামেননি। হেলিকপ্টারটি আকাশে চক্কর দিয়ে চলে গেছে।