জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

দুর্গতদের ত্রাণ দেওয়া হচ্ছেজামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টির কারণে জেলার সাতটি উপজেলায় ৬১টি ইউনিয়ন ও সাতটি পৌরসভা প্লাবিত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি ২৬ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ১২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (২০ জুলাই) জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী নবকুমার চৌধুরী এসব তথ্য জানান।

পানি কিছুটা কমলেও বাড়ছে জনদুর্ভোগ। এ অঞ্চলের ১২ লাখ ৮০ হাজার মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। বন্যার পানি প্রবেশ করায় সাত উপজেলায় ৬৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৬০টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৮০টি মাদরাসা ও ৪১টি কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দুর্গতদের জন্য ৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে দশ হাজার আটশ’ ৪০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে জামালপুরের ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জে বন্যার্তদের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসেবে প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল, এক কেজি মসুরের ডাল, এক কেজি চিনি, দুই কেজি চিড়া, এক লিটার সয়াবিন তেল ও ৫০০ গ্রাম নুডুলস দেওয়া হয়েছে। এসব ত্রাণ ইসলামপুর এক হাজার ৩০০ এবং দেওয়ানগঞ্জের এক হাজার ৬০০ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

এদিকে জামালপুরের রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বন্যার পানিতে রেলপথ প্লাবিত হওয়ায় জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ এবং জামালপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত রেলপথে আন্তঃনগর ট্রেনসহ সব ট্রেন চলাচল এখনও বন্ধ রয়েছে।’

বন্যার পানিতে ডুবে এ পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জে তিনজন, ইসলামপুরে একজন এবং জামালপুর সদরে দুইজন মারা গেছে।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যার পানিতে এ পর্যন্ত ২৪ হাজার ২শ’ ৭ হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত হয়েছে।