রবিবার (২১ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর র্যাডিসন ব্লু হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের গ্রাউন্ড ব্রেকিং উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী প্রধান অতিথি ছিলেন।
নওফেল বলেন, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে শুরু করেছে সেভাবে পরিচালিত হবে। বিশেষ করে নৌবাহিনীর ১৫ জন অফিসার এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সঙ্গে আংশিক অথবা পুরোপুরিভাবে জড়িত থাকবেন। সুতরাং আমি মনে করি শৃঙ্খলার যে সংকট সেটি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে না। নিঃসন্দেহে আমরা এটি অতিক্রম করতে পারবো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যে অর্থনীতির কথা বলছি, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় জ্ঞাননির্ভর যে অর্থনীতির কথা বলে যাচ্ছেন অর্থাৎ ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে যে জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতি হবে সেই অর্থনীতিতে আরেকটি মাত্রা পাবে ব্ল ইকোনমি। বঙ্গবন্ধু কন্যার দুরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে আমরা সমুদ্রসীমা পেয়েছি। সেখানে যে সমুদ্রসম্পদ আছে এটি যেন অতিমাত্রায় ব্যবহারের মাধ্যমে শেষ না হয়ে যায়। সেটি যেন আমরা টেকসইভাবে ব্যবহার করতে পারি, সেজন্য গবেষণার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক শিরীন আখতার, সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, নজরুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান মিতা, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর পাশে কালুরঘাট এলাকায় ১০৬ একর জমিতে বিশ্ববিদ্যালটির স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ হতে যাচ্ছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাতটি অনুষদের অধীনে ৩৮টি বিভাগ ও চারটি ইনস্টিটিউট থাকবে। ৯টি বিভাগ ইতোমধ্যে চালু রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এখানে অ্যাকাডেমিক ভবন, শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক ডরমেটরি নির্মাণ করা হবে। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় এবং সারা বিশ্বে ১২তম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা অধ্যায়ন করবেন তারা প্রত্যেকে একজন মেরিটাইম এক্সপার্টে পরিণত হবেন।’