৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় করেছে যশোর কাস্টমস

যশোর কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেট। (ছবি: ইন্টারনেট থেকে)

রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধিতে গত পাঁচ বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চ অবস্থানে যশোর কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেট। গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে যশোর কাস্টমসের রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি হার দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ০১ শতাংশ। সারাদেশে এই হার মাত্র ১১ শতাংশ।

যশোর কাস্টমস সূত্র জানায়, বিগত তিন অর্থবছরে যশোর কাস্টমসের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে। এরমধ্যে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে রাজস্ব আয় হয় এক হাজার ৩৫০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ও প্রবৃদ্ধির হার ২৩ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে রাজস্ব আয় ও প্রবৃদ্ধি হয় যথাক্রমে এক হাজার ৫৮৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। ওই বছর প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১৮ শতাংশ। আর গত অর্থবছরে অর্জিত প্রবৃদ্ধির হার গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০১৮-১৯ তে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ দুই হাজার ৪৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা এবং প্রবৃদ্ধির হার  ২৯ দশমিক ০১ শতাংশ।

যশোর কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনার মো. শওকাত হোসেন বলেন, টিম ওয়ার্ক, দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তাদের যথাযথ স্থানে পদায়ন এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্যের (বাস্তবায়ন) সার্বক্ষণিক সহায়তা মনোভাবাপন্ন মনিটরিংয়ের ফলেই তার কমিশনারেটের এই সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে।

যশোর কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেটের অধিক্ষেত্রগুলো (ছবি: ইন্টারনেট থেকে)

তিনি আরও বলেন, এনবিআর কর্তৃপক্ষ যশোরে নিটল মোটরসকে রাজস্বমুক্ত ঘোষণা করায় এ বছর প্রতিষ্ঠানটি থেকে কোনও রাজস্ব পাওয়া যায়নি। অথচ সেখান থেকে রাজস্ব আদায়ের টার্গেট ছিল ৪৬ কোটি টাকা। এছাড়া বেনাপোল বন্দর দিয়ে এবার আমদানি কম হওয়ায় অ্যাডভাঞ্চ ট্রেড ভ্যাট (এটিভি) প্রাপ্তির পরিমাণও কমেছে। যশোর কাস্টমসে জনবলেরও ঘাটতি রয়েছে। তারপরও নিয়মিত রেভিনিউ মিটিংসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিনি নানাভাবে কাউন্সেলিং করায় সকলে কারও চাপে বা ভয়ে নয়; বরং দায়িত্ববোধের তাগিদে কাজ করেছেন। সফলতার পেছনে এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

উল্লেখ্য, যশোর কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনার মো. শওকাত হোসেন ২০১৭ সালে যশোরে যোগ দেন।