কেরানীগঞ্জে গণপিটুনিতে হতাহত যুবকদের পরিচয় ৩ দিনেও মেলেনি

ঢাকার কেরানীগঞ্জে গণপিটুনিতে নিহত ও আহত যুবকদের  তিন দিনেও পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার (২০ জুলাই) মধ্যরাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় অঞ্জাত চারশ’ ব্যক্তিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. চুন্নু মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিপুল চন্দ্র দাস রবিবার (২১ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তিন দিন পার হয়ে গেলেও ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ও আহত যুবকদের পরিচয় এখনও আমরা বের করতে পারিনি। চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত যুবকটি এখনও সুস্থ হয়ে না ওঠার কারণে সে কোনও কথা বলতে পারছে না। তাকে আমরা পুলিশ পাহারায় রেখেছি। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে নিহত ও আহত ওই যুবকদের নাম-পরিচয় জানার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘কারা এই গণপিটুনিতে জড়িত তাদেরকেও আমরা তদন্ত করে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আশা করছি, আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে এই ঘটনার আসল রহস্য উদ্ঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারব।’

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ‘গণপিটুনিতে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। তবে গুজবে কান দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে  না নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এ ধরনের কোনও সন্দেহ হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে অবহিত করার অনুরোধ করছি।’

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে হযরতপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে আমিনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বাড়ির পূর্ব পাশের একটি রাস্তায় ছেলেধরা সন্দেহে দুই যুবককে এলাকাবাসী গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. চুন্নু মিয়া ঘটনাস্থলে যান। তিনি হযরতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন আয়নালের উপস্থিতিতে তাদের উদ্ধার করেন। পরে আহত যুবকদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার তাদের একজন নিহত হন।