৩০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেটের বিরুদ্ধে

নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট

নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করে চরম বিপাকে পড়েছেন মোংলার প্রায় ৭০০ গ্রাহক। গ্রাহকরা তাদের আমানতের প্রায় ৩০ কোটি টাকা ফেরত পেতে প্রশাসনসহ বিভিন্ন দফতরে ধর্না দিচ্ছেন। টাকা ফেরত পেতে ভুক্তভোগীরা গঠন করেছে ‘সংগ্রাম পরিষদ’।

শনিবার (২০ জুলাই) দুপুরে মোংলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী কয়েকশ’ নারী-পুরুষ।

বিনিয়োগকারী মমিনুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও আলমগীর হোসেন শিকারীকে সদস্য সচিব করে গঠিত ৫১ সদস্য বিশিষ্ট এ সংগ্রাম পরিষদ ধাপে ধাপে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের আমানতের টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। তাদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আইনি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, স্মারক লিপি প্রদান, নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আ. মান্নানের কার্যালয় ঘেরাওসহ বিভিন্ন কর্মসূচি।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান,নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেটের মালিক আ. মান্নান তালুকদার বাগেরহাট ও মোংলাসহ আশপাশের এলাকায়  মাঠ কর্মকর্তা ও দালাল নিয়োগ দিয়ে ও মোটা অংকের মুনাফার লাভ  দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। একলাখ টাকায় প্রতিমাসে অন্তত দুই হাজার টাকা লাভসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার আশ্বাস দেওয়া হয়। এতে প্রলুব্ধ হয়ে শুধু মোংলারই ৭০০ গ্রাহক নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট প্রকল্পে প্রায় ৩০ কোটি টাকা জমা রাখে।

দুদকের মামলায় আ. মান্নান এখন জেলে

ভুক্তভোগীরা জানান, প্রথম দিকে গ্রাহকদের লভ্যাংশ সঠিকভাবে দেওয়ায় গ্রাহক সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যায়। তবে ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে প্রকল্প কর্মকতারা গ্রাহকদের সব ধরনের লভ্যাংশ ও আসল আমানত ফেরত দেওয়া বন্ধ করে দেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে মাঠ পর্যায়ের আমানতকারীরা। একপর্যায়ে গ্রাহকরা বুঝতে পারেন যে, আ. মান্নান ও তার সহযোগীদের কাছে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

নানাভাবে গ্রাহকরা তাদের আমানতের টাকা ফেরত পেতে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের চাপ প্রয়োগ করলে তাদের বেশিরভাগই গা-ঢাকা দেন।

এদিকে, প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আ. মান্নান দুদকের দায়ের করা ১১০ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার হয়ে ১৫ জুলাই থেকে তিনি জেলে রয়েছেন। এতে করে গ্রাহকরা তাদের আমানত ফেরত পেতে আরও ভোগান্তিতে পড়েন।

আমানতকারীরা তাদের টাকা ফেরত পেতে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আ. খালেকসহ স্থানীয় সংসদ সদস্য উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।