বালিয়াকান্দি স্টেডিয়াম মাঠ থেকে সাধু মোল্যার মোড়, ওয়াপদা মোড়, তালপট্টি, বালিয়াকান্দি চৌরাস্তা থেকে ঘিকমলা পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় প্রায় ১৪ কিলোমিটার। বালিয়াকান্দি থানা গেট থেকে চন্দনা ব্রিজ পর্যন্ত ভাঙাচোরা সড়কের বেশির ভাগ জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে কাদা মাটির প্রলেপ । বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে সড়কটি যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন যাবত এ অবস্থা বিরাজ করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
ট্রাকচালক সবুজ বলেন, ‘পাংশা থেকে মাগুরা যাওয়ার উদ্দেশে বালিয়াকান্দি সদরের ওয়াপদায় এসে আমার ট্রাকটি সড়কের মাঝখানে আটকে যায়। সড়কে পানি থাকায় বুঝতে পারিনি যে, গর্তটি বড় ছিল। উপজেলা সদরে সড়কের এই হাল হতে পারে চিন্তাই করা যায় না। ৯ ঘণ্টা চেষ্টার পর সকালে আল্লাহ মুক্তি দিয়েছে।’
মোটরসাইকেল চালক মাসুদ রহমান বলেন, ‘এই রাস্তার বেহাল দশা অনেক দিনের। এপথে বর্তমানে চলাচল অসম্ভব হয়ে গেছে।’ ভ্যানচালক রফিক শেখ বলেন, ‘এপথে যাত্রী বা পণ্য নিয়ে যাওয়ার কথা শুনলেই ভয় হয় কখন যেন গর্তে পড়ে যাই।’
বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, সড়কগুলো এলজিইডি দেখভাল করছে। কয়েক মাস আগে আমরা ইট, খোয়া দিয়ে মেরামত করেছি।’
রাজবাড়ীর নির্বাহী প্রকৌশলী খান এ শামীম জানান, বালিয়াকান্দি সদরকেন্দ্রিক সড়ক এবং বালিয়াকান্দি থেকে নারুয়া, ওয়াপদা-মধুখালী সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। সড়কগুলো আরসিআইপি প্রকল্পভুক্ত হয়েছে। সড়কগুলোর বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।তবে এখনও আমরা টেন্ডার আহ্বানের অনুমতি পাইনি। আশা করছি, খুব শিগগিরই টেন্ডার ডাকার অনুমতি পেলে দৃশ্যমান উন্নয়ন ঘটাতো পারবো।