চারঘাটে ছেলেধরা সন্দেহে পাঁচ ‘এনজিও কর্মী’কে গণপিটুনি

ঘটনাস্থলের দৃশ্য

রাজশাহীর চারঘাটে ছেলেধরা সন্দেহে পাঁচজনকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা। সোমবার (২২ জুলাই) দুপুরে চারঘাট উপজেলার রাওথা এলাকা থেকে পুলিশ ওই পাঁচজনকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। তারা নিজেদের আদ-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টার নামের একটি এনজিও কর্মী বলে জানিয়েছেন।

এই পাঁচ জন হলেন- গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর উপজেলার ঝাকরপুর গ্রামের মসলেম উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর রহমান (৪২), একই এলাকার আখতারুজ্জামানের ছেলে আবুল হোসেন (৪০) ও লুৎফর রহমানের ছেলে রেজাউল করিম (৩৮), ঢাকা দক্ষিণের লালবাগ থানার আব্দুল মজিদের ছেলে কাইয়ুম আলী (৩৯) ও আবুল কালাম (৩৬)।

চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘চারঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের রাওথা এলাকায় অপরিচিত পাঁচ ব্যক্তি সমিতির নাম করে সদস্য সংগ্রহ করছিল। এসময় সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজন তাদের সমিতির নাম জানতে চেয়ে কাগজপত্র ও পরিচয়পত্র দেখতে চায়। তবে তারা কোনও কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে ছেলেধরা সন্দেহ তাদের পিটুনি দিয়ে আটকে রেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নেয়।’

ওসি নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ওই পাঁচ জন নিজেদের আদ-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টার নামে একটি এনজিওর মাঠ কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। রবিবার তারা রাওথা গ্রামে গিয়ে একটি এনজিওর কার্যালয় করার কথা বলে আব্দুল মজিদের বাড়ি ভাড়া নেয়। রাতে তারা সেখানেই ছিলেন। সোমবার তারা ওই এনজিওর নামে সদস্য সংগ্রহের কাজে বের হয়। এ সময় তারা এলাকাবাসীর রোষানালে পড়েন।’

চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, ‘কোনও এনজিও উপজেলায় কাজ করতে চাইলে তাদের পরিচয়সহ কাগজপত্র জমা দিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতিপত্র নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু তারা এধরনের কোনও অনুমোদন নেয়নি। এছাড়াও তারা যে এনজিওর কথা বলছে তার বৈধ কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’