১১ বছরে বিএনপির কোনও নেতাকর্মী দুর্গতদের পাশে দাঁড়াননি: কৃষিমন্ত্রী

মানিকগঞ্জে আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিতরণকৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘বিএনপি নেতাদের বন্যা নিয়ে কোনও মাথাব্যাথা নেই। বিএনপি নেতা রিজভী শুধু দলীয় অফিসে বসে প্রেসরিলিজ দেন আর সাংবাদিকরা তা মিডিয়ায় তুলে ধরেন। এছাড়া বিএনপি নেতাদের কোনও কাজ নেই। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে ছিল। ওই সময়ও উত্তরাঞ্চলে মঙ্গা ও বন্যার সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ত্রাণ সহায়তা নিয়ে সারা দেশে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু গত ১১ বছরে বিএনপির কোনও নেতাকর্মী দুর্গতদের পাশে দাঁড়াননি। এরকম কোনও উদাহরণ তারা দিতে পারবেন না।’

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চল বাঁচামারা এলাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটির পক্ষ থেকে বন্যা কবলিতদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শিবালয় উপজেলার অন্বয়পুর ও হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুরেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশে একটি মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। দেশে খাদ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে, শেখ হাসিনার নির্দেশ একটি মানুষও যেন না খেয়ে না থাকে। প্রতিটি বন্যা দুর্গত বাড়িতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। বন্যার সময় যেমন খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হবে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ঘর নির্মাণে সহযোগিতা করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশ নদীমাতৃক দেশ। তাই ভাঙন ও বন্যা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে বর্তমান সরকার বন্যা ও ভাঙন মোকাবেলায় স্থায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে। চাঁদপুর থেকে পদ্মা ও যুমনা নদী ড্রেজিং করা হবে। ড্রেজিংয়ের মাটি নদীর পাড়ে ফেলে বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এতে নদীর গভীরতা বাড়বে এবং নদীর পাড় বাঁধাই করা হলে ভাঙন রোধ হবে।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতি হয় কৃষিতে। বন্যা পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসন করার জন্য কৃষকদের বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়া হবে। এর জন্য ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আশা করা যায় কৃষি পুনর্বাসনে কোনও সমস্যা হবে না।’

ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী মীর্জ আজম এমপি,  আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, স্থানীয় সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা,  জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন,  মানিকগঞ্জ পৌর সভার মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বাবুল মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহীউদ্দিন আহমেদ, শিবালয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান জানু, দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম রাজা, হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ কমিটির পক্ষ থেকে মানিকগঞ্জের তিন উপজেলায় নদী ভাঙন ও বন্যা কবলিত তিন হাজার পরিবারের মধ্যে ৩০ কেজি করে চাল, ডাল, তেল, চিড়া, আলু ও লবণ বিতরণ করা হয়।