ছেলেধরা সন্দেহে ‍৩ মানসিক ভারসাম্যহীনকে গণপিটুনি দিলো উন্মত্ত জনতা

উন্মত্ত জনতার গণপিটুনির শিকার মানসিক ভারসাম্যহীন তিন যুবককের মধ্যে দুজন পঞ্চগড়ে ছেলেধরা সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন তিন যুবককে গণপিটুনি দিয়েছে উন্মত্ত জনতা। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জীবন রক্ষা করে। বর্তমানে তারা থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। সোমবার (২২ জুলাই) রাতে জেলা শহরের ডোকরোপাড়া ও তুলারডাঙ্গা এলাকায় দুজনকে এবং বিকালে দেবীগঞ্জে আরেক যুবককে গণপিটুনি দেওয়া হয়। তাদের একজনের পরিচয় জানা গেছে। 

দেবীগঞ্জে হামলার শিকার যুবকের নাম সাজেদুল ইসলাম। তার বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার সাহাপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মন্টুর ছেলে।

দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হাসান সরকার জানান, সাজেদুলের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। পরিবারের লোকজন আসলে তাদের কাছে সোপর্দ করা হবে।

গুজবে কান না দিতে এবং পুলিশকে সাহায্য করতে ওসি সবার প্রতি আহ্বান জানান। প্রয়োজনে ৯৯৯ ফোন দিয়ে তাৎক্ষণিক সেবা নেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।

পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, ‘গণপিটুনি দেওয়া তিনজনই মানসিক ভারসাম্যহীন। সন্দেহ হলেই কেউ অপরাধী নয়। “মাথাকাটা” বা “ছেলেধরা” এটা একটি গুজব মাত্র। অপরিচিত কাউকে কোনও সন্দেহ হলে আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে নিকটের থানা পুলিশকে খবর দিন।’

তিনি আরও বলেন, সন্দেহ করে কোনও ব্যক্তিকে মারপিট করা হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’