বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে সিরাজগঞ্জ হয়ে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলা বাদেও খুলনা, যশোহর ও কুষ্টিয়া যেতে এ দুটি মহাসড়ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ দুটি মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার যানবাহন চললেও ঈদের সময় পশুবাহী ট্রাক বেড়ে তা প্রায় দ্বিগুণ হয়।
গত ঈদের আগে এ দুটি মহাসড়কে যানজটে ও যানবাহনের ধীরগতির কারণে ভুগেছে উত্তরাঞ্চলের হাজারও ঘরমুখো মানুষজন। ঈদের পর কর্মস্থলে ফিরতেও একই অবস্থা হয়েছে তাদের। আবারও সামনে ঈদ। এবারও ঈদযাত্রা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন চালক ও যাত্রীরা। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সিরাজগঞ্জ হাটিকুমরুল গোলচত্বর মোড়ে গেলে এরকম শঙ্কার কথা জানান কয়েক ডজন ঢাকাগামী ট্রাক ও দূরপাল্লার বাসের চালক। হাটিকুমরুল মোড় থেকে নলকা সেতু, চান্দাইকোনা ও মান্নান নগরের দিকে মহাসড়কের খানাখন্দ ও উঁচু-নিচু হওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে।
বগুড়া হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘দুটি মহাসড়কের খানাখন্দের কারণেই গত রোজার ঈদের আগে বিড়ম্বনায় পড়েছেন উত্তরাঞ্চলের মানুষজন। এবারও একই সমস্যার হতে পারে। দ্রুত মেরামতের জন্য বেশ কটি পত্র দেওয়া হলেও এখনও ব্যবস্থা নেয়নি সওজ।’
এ ব্যাপারে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম পিকে বলেন, ‘প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক মাছের ট্রাক ঢাকার দিকে যাওয়ায় হাটিকুমরুল মোড়ে তা থেকে পানি পড়ে বিটুমিন উঠে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। রাজাশাহীর ঠিকাদার তাজুল কনস্ট্রাকশন হার্ট-সোল্ডারসহ পৌনে ৩ কিমি কাজ গত ৭-৮ মাস আগে না করায় তাকে জরিমানা করা হয়েছে। হাটিকুমরুল মোড় থেকে নলকা পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিমি অংশে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড থাকায় আগামী বৃহস্পতিবার থেকে তিনি মেরামত করবেন। মহাসড়কের অন্যান্য অংশে কোরবানির ঈদের আগেই সওজের নিজস্ব জনবল ও বিটুমিন দিয়ে মেরামত কাজ করা হবে।