তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দ্রুত ও সহজে কাজ করার জন্য স্মার্ট ল্যাব অটোমেশন সার্ভিস চালু করেছি। এখানে সিভিল ও এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সিআরটিসির মাধ্যমে বিভিন্ন টেস্টের রিপোর্ট অনলাইনে দেওয়া হবে।’ ফলে কোনও রিপোর্ট দ্রুত পেতে সুবিধা হবে বলে জানান তিনি।
ড. কবির আরও বলেন, ‘নির্মাণ প্রকল্পে কিছু মানুষ অসাধু উদ্দেশ্য নিয়ে এ ধরনের পরীক্ষায় নকল রিপোর্ট তৈরি করে। ওই রিপোর্ট যাচাই-বাছাইয়েরও সুযোগ থাকে না। ফলে নকল রিপোর্ট মেনেই নির্মাণ প্রকল্প শুরু হয়। অনেক সময় এ রিপোর্টের কারণে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। আমাদের সিআরটিসির মূল উদ্দেশ্য হলো—এ ধরনের নকল রিপোর্ট তৈরি ও রিপোর্টে পরিবর্তন রোধ করা। এজন্য আমরা যেকোনও পরীক্ষার ফল অনলাইনে প্রকাশের সুবিধা রেখেছি।’
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এই স্মার্ট ল্যাব অটোমেশন সার্ভিসের উদ্বোধন করেন। এ সময় অনলাইনভিত্তিক এ সার্ভিস চালু করায় উপাচার্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
ইঞ্জিনিয়ার রুবেল আরও বলেন, ‘এছাড়া রিপোর্টে একটি কিউআরকোড দেওয়া থাকবে, যা কোনও স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে স্ক্যান করে গ্রাহকরা সরাসরি তাদের রিপোর্ট যাচাই করতে পারবেন।’ এর ফলে নকল রিপোর্ট বন্ধ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সিইই সিআরটিসির চেয়্যারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, ‘নির্মাণ প্রকল্পে সিআরটিসি মূলত চারটি বিষয় নিয়ে কাজ করে থাকে। এর মধ্যে প্রকল্পের কাঠামো, রোড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশন, এনভায়রনমেন্ট ও ওয়াটার রিসোর্স নিয়ে কাজ করে। এজন্য প্রকল্পের অধীনে অনেক অত্যাধুনিক ল্যাব আছে, যেখানে কোনও প্রকল্পের সয়েল টেস্ট, ওয়াটার কোয়ালিটি টেস্ট ও এয়ার টেস্ট, সয়েলের বিয়ারিং ক্যাপাবিলিটি, লোড ক্যাপাবিলিটি, নির্মাণসামগ্রী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এছাড়া প্রকল্পের কাঠামো নির্মাণে পরামর্শ, প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা ও তার পরিবেশগত প্রভাব, প্রজেক্ট মনিটরিং ইত্যাদি কাজ করাও হয়।
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সিআরটিসি সেবা চালু রয়েছে। তবে দেশে সবার আগে সিআরটিসি সেবার অধীনে স্মার্ট ল্যাব অটোমেশন সেবা শাবিতে চালু হলো।