বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে এনে ফাঁসি কার্যকর করা হবে: কাজী নাবিল

মানববন্ধনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কাজী নাবিল আহমেদ (ছবি– প্রতিনিধি)বর্তমান সরকারের আমলেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন যশোর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী নাবিল আহমেদ। বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকালে যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা মোড়ে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতাদানকালে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন। যশোর সদর ও শহর আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিশাল এই মানববন্ধন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘আগস্ট মাস এলেই বাঙালির হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশি-বিদেশি চক্রান্তে আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, তার স্ত্রী-সন্তানসহ স্বজনদের হারিয়েছি। ১৯৭৫ সালের পর দেশে যারা ক্ষমতায় এসেছে, বিশেষ করে জিয়াউর রহমান; যিনি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার না করার ব্যবস্থা করেছিলেন, তিনি খুনিদের পুরস্কৃত করে গেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরপর ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ শুরু করেন। বিচারের মাধ্যমেই খুনিদের সাজা নিশ্চিত করা হয়েছে।’

বিদেশে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির আদেশ কার্যকরে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে এমপি নাবিল বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে দেশবাসী সুখে-শান্তিতে বসবাস করছেন। সারা বিশ্বে তিনি এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিগণিত হচ্ছেন। নন্দিত রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বাংলাদেশের মাথা উঁচু করেছেন তিনি। তার সুদৃঢ় নেতৃত্বেই আমরা ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছি। ২০৪১ সালে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।’

১৫ আগস্টের পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর ও ২১ আগস্ট জননেত্রীকে হত্যার উদ্দেশে গ্রেনেড হামলার নায়কদের ফাঁসির দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাড. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, শ্রমিক লীগ নেতা নাসির উদ্দিন, সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান মিন্টু, জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি লাইজু জামান, যুব মহিলা লীগের মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী প্রমুখ। মানববন্ধন ও সমাবেশে আরও ছিলেন জেলা যুবলীগ সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, মঈনুদ্দিন মিঠু, হাফিজুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীসহ জেলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েকশ’ নেতাকর্মী।