বরিশালে চামড়া ব্যবসার প্রাণ কেন্দ্র নগরীর পদ্মাবতী এলাকা। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এখানে চামড়া নিয়ে এসে দাম শুনে হোঁচট খেয়েছেন। বাধ্য হয়ে লোকসানে চামড়া বিক্রি করেছেন। দাম বাড়বে— এই আশায় মাদ্রাসা থেকে চামড়া সংগ্রহকারীরা লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করছেন।
একাধিক মৌসুমী ব্যবসায়ী জানান, পদ্মাবতীতে ১০-১২ জন পাইকার রয়েছেন। তবে এবার সেখানে আছেন এক-দু’জন। এ কারণে তারা ইচ্ছামতো দাম বলেছেন। ছাগলের চামড়া ৫-১০ টাকা এবং গরুর চামড়া ২০০-৩০০ টাকা নির্ধারণ করে দেন তারা। পাইকাররা এভাবে সিন্ডিকেট করবে তা তারা বুঝতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত লোকসান দিয়ে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ তাদের পক্ষে চামড়া সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিল না। এরপর অনেকে আর চামড়া কিনবে বলে জানিয়েছেন। দু- একজন সবার সামনে কান ধরে জানিয়েছেন তারা আর এ ব্যবসা করবেন না।
তিনি বলেন, এক যুগ আগে চামড়া ব্যবসায়ী ছিলেন ২০ জন। তবে গত বছর মাত্র পাঁচ জন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেছেন। এ বছর মাত্র দু’জন পাইকার চামড়া কিনছেন। তাদের হিসাব অনুযায়ী, কোরবানি ছাড়া বরিশাল থেকে বছরে ৩৬ হাজার চামড়া ঢাকার ট্যানারিগুলোতে যায়। কোরবানির সময় যায় ৩০ হাজার চামড়া। কোরবানির আগে বকেয়া আনতে পাইকাররা ঢাকায় গিয়েছিলেন। যাদের ৩-৪ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে তারা মাত্র ১০ হাজার টাকা পেয়েছেন। ওই টাকা তো যাতায়াতেই খরচ হয়। এ কারণে পাইকাররা চামড়া কেনা থেকে বিরত থাকছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘ট্যানারি মালিকরা তাদের ব্যবসার জন্য ঋণ পাচ্ছেন। টাকা নেই অথচ বাড়ি-ঘর তুলছেন, অন্য ব্যবসায় পুঁজি খাটাচ্ছেন। আমরা চাই সরকার কোম্পানি, আড়তদার ও বেপারিদের নিয়ে বসুক। তাহলেই বের হয়ে যাবে আসল দোষী কারা।’