ঈদ উপলক্ষে হিলি সীমান্তে দর্শনার্থীর ভিড়

ঈদ উপলক্ষে হিলি সীমান্তে ভিড় করেছেন দর্শানার্থীরা। কেউ কেউ এসেছেন সীমান্ত এলাকা ঘুরতে, আবার কেউ কেউ এসেছেন ওপার বাংলার আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে। অনেকে সীমান্তে পরিবার পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে পেয়ে আবেগে-আপ্লুত হয়ে পড়েন।

শনিবার (১৭ আগস্ট) সরেজমিনে হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেটের শূন্যরেখায় গিয়ে দেখা যায়, সীমান্তের দুই পার্শ্বে বিপুল সংখ্যক মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন।

সীমান্তে আসা জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়চড়া গ্রামের সুদেব কুমার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজ থেকে দুবছর আগে আমার মেয়ে স্বপ্না রানীকে ভারতে বিয়ে দেই। কিন্তু এখন পর্যন্ত পাসপোর্ট না হওয়ায় মেয়ে ও জামাই দেশে আসতে পারেনি, তাই আজ হিলি সীমান্তে এসেছি তাদের সঙ্গে দেখা করতে। পরে বিজিবিকে অনুরোধ করে আমাদের সীমান্তের শূন্যরেখায় দেখা ও কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া হয়। আমার পরিবারের আরও অনেকেই আসছে দেখা করতে, অনেকেরই পাসপোর্ট নেই, তাই এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম আমরা। মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে পেরে খুব ভালো লাগলো।’

ভারত থেকে সীমান্তে দেখা করতে আসা স্বপ্না রানী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজ থেকে দুবছর আগে ভারতের বালুরঘাট এলাকায় আমার বিয়ে হয় রনজিৎ কুমারের সঙ্গে, এরপর থেকেই আমি ভারতে রয়ে গেছি। এখন পর্যন্ত আমাদের পাসপোর্ট করা হয়নি। তাই বাবার বাড়িতে যেতে পারছি না। তবে শুনেছিলাম ঈদ ও পূজার মধ্যে সীমান্তে অনেকের দেখা করতে ও কথা বলতে দেয়। সেই সুযোগে আমরা আজকে এসেছি বাবা মা ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে।’

সীমান্তে আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসা হিলির ইউসুফ আলী জানান, আমার নানা বাড়ি ভারতে। তবে সব সময় ভারতে যাওয়াও হয় না। তাই আমরা প্রতিবছর ঈদ ও পূজার অপেক্ষায় থাকি। এসময় বিজিবি ও বিএসএফ দেখা করার অনুমতি দেয়।

হিলি সীমান্ত দেখতে আসা বগুড়ার আদমদিঘি এলাকার রইচ উদ্দিন জানান, ঢাকাতে পড়ালেখা করি। ঈদ করতে বাসায় এসেছিলাম। পরে সেখান থেকে বন্ধুদের সঙ্গে স্বপ্নপুরিতে পিকনিক করতে যাই। পথে হিলি সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখলাম, খুব ভালো লাগলো।

বিজিবির হিলি চেকপোস্ট কমান্ডার নায়েক রাকিব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ঈদের সময় দর্শনার্থীদের বেশ চাপ থেকে। অনেক সময় তাদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়। নিয়মের মধ্যে থেকে অনেকের আবদার রক্ষা করতে পারলেও অনেকেরই রক্ষা করা যায় না।