গ্রেফতার আতঙ্কে জলঢাকার আ. লীগ নেতারা

 আওয়ামী লীগগ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন নীলফামারীর জলঢাকার সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা,  সভাপতি আনছার আলী মিন্টুসহ দলের শীর্ষ নেতারা। জাতীয় শোক দিবসের (১৫ আগস্ট) দিন আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে পাল্টাপাল্টি মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এরপর থেকেই দু’পক্ষের শীর্ষ নেতারা গা ঢাকা দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,  একটি মামলার বাদী হয়েছেন জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনসার আলী মিন্টু। অপরটির বাদী হয়েছেন সাবেক এমপির গোলাম মোস্তফার অনুসারী জলঢাকা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফ আলী। দুই গ্রুপের মামলাতেই উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের আসামি করা হয়েছে।

জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ১৮ নম্বর মামলার বাদী আনসার আলীর এজাহারে ৭০ জন এবং ১৯ নম্বর মামলার বাদী আশরাফ আলীর এজাহারে ৬৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় ২২ জনকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলার বাদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রশিদ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নীলফামারী সার্কেল) রুহুল আমিন বলেন, শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত,  জাতীয় শোক দিবসে জলঢাকা শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ৫ পুলিশসহ ২২ জন আহত হয়।