সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে পতেঙ্গার নেভাল অ্যাকাডেমি পয়েন্টে সরেজমিনে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ চৌধুরীর দাবি— ‘ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি) প্রকল্প মেয়াদের মধ্যেই কাজ সমাপ্ত করতে পারবে।’
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি কর্ণফুলী টানেলের খনন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন তিনি টানেল প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড পরিদর্শন করেন। ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ টানেলটি পতেঙ্গার নেভাল অ্যাকাডেমি পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে কাফকো ও সিইউএফএল পয়েন্টের মাঝখান দিয়ে কর্ণফুলী নদীর ওপারে গিয়ে উঠবে।
হারুনুর রশিদ চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘টানেলের ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মধ্যে ৩৬০ মিটার অংশের খনন কাজ শেষ হয়েছে। ৩৬০ মিটার অংশে মোট ১৮০টি রিং বসানো হয়েছে। সার্বিকভাবে প্রকল্পের প্রায় ৪৫ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।’
হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রকল্পের জন্য ৩৮১ একর জমির মধ্যে বেশিরভাগ জায়গা অধিগ্রহণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিছু জমি অধিগ্রহণ বাকি আছে, তাও দ্রুত সমাধান করা হবে। কাজ দ্রুতই এগিয়ে চলছে। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে।’
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, এ প্রকল্পের অধীনে ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার টানেল নির্মাণের পাশাপাশি টানেলের পূর্ব (আনোয়ারা) প্রান্তে ওপেন কাট ২০০ মিটার, কাট অ্যান্ড কভারের ১৯৫ মিটার, অ্যাপ্রোচ রোড ৫৫০ মিটার এবং ২৫ মিটার ওয়ার্কিং শ্যাফট নির্মাণ করা হবে। অন্যদিকে, টানেলের পশ্চিম (পতেঙ্গা) প্রান্তে ওপেন কাট ১৯০ মিটার, কাট অ্যান্ড কভারের ২৩০ মিটার, অ্যাপ্রোচ রোড ৪ হাজার ৭৯৮ দশমিক ০৯৫ মিটার এবং ২৫ মিটার ওয়ার্কিং শ্যাফট নির্মাণ করা হবে।
উল্লেখ্য, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার টানেল নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৫ সালের নভেম্বরে অনুমোদন পায়। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রকল্পে ঋণ হিসেবে চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকার অর্থায়ন করছে। বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করবে।