টেকনাফের জাদিমোরা শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ খালেদ হোসেন বলেন, ‘প্রত্যাবাসনের তালিকায় নাম থাকা রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের ঘরে ঘরে গিয়ে তাদের সাক্ষাৎকার দিতে আসার জন্য বলা হয়েছে। তবে কেউ সাক্ষাৎকার দিতে আসেননি। এরপরও বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে।’
এদিকে সাক্ষাৎকার ঘিরে শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তৎপর দেখা গেছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন তালিকায় নাম থাকা এক রোহিঙ্গা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, ‘সকালে ইউএনএইচসিআর ও ক্যাম্প ইনচার্জের প্রতিনিধিরা ঘরে এসেছেন। তারা বলেছেন তালিকায় আমার পরিবারের নাম রয়েছে, সাক্ষাৎকার দিতে বিকালে ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য বলেছেন। কিন্তু আমরা মিয়ানমারে ফেরত যাবো না। যেদেশ থেকে নির্যাতনের স্বীকার হয়ে এসেছি, সেখানে ফিরে যেতে চাই না। নির্যাতনের বিচার পেলেই কেবল ফিরে যাবো।’
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন শুরু করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন। পুরনো ও নতুন মিলিয়ে এখন উখিয়া-টেকনাফের ৩০টি শিবিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৫৭। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। জাতিগত নিধন ও গণহত্যার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন- ‘রোহিঙ্গারা নিরাপত্তা ও সুরক্ষার আশ্বাস না পেলে সাক্ষ্য নেওয়া কঠিন হবে’