জেলে পরিবারের ওপর দু’দফা হামলা, নারী-শিশুসহ আহত ৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাড়ির সীমানায় গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলের আত্মীয়দের দু’দফার হামলায় একটি হিন্দু জেলে পরিবারের নারী ও শিশুসহ ৯ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল ও বিকালে দুই দফায় ভাদুঘরে এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় হামলাকারীরা ওই পরিবারের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, বিষয়টি জেনেছি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

হামলায় আহতরা হলেন- ভাদুঘর দাসপাড়া গ্রামের কার্তিক বর্মণ (৭২) তার স্ত্রী জ্ঞানু বর্মন (৬৫), বড় ছেলে কৃষ্ণ বর্মণ (৪২), ছেলের স্ত্রী সাবিত্রী বর্মণ (৪০), তাদের তিন মেয়ে নুপুর বর্মণ (১৭), ঝুমুর বর্মন (১২) ও ইতি বর্মন (৫); কার্তিক বর্মনের ছোট ছেলে বনমালী বর্মন (৩০) ও তার শিশু কন্যা পূজা বর্মন (৫)।

তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে উপস্থিত হন হামলায় আহতরা। এসময় আহত কৃষ্ণধন বর্মন ও তার ছোট ভাই বনমালী বর্মন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার ভাদুঘর এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম নেহারের নিকটাত্মীয় নুরুল হুদার সঙ্গে বাড়ির সীমানায় গাছ লাগানো নিয়ে সকালে তাদের বাবা কার্তিক বর্মণের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে নুরলি হুদা ও তার সহযোগিরা তাদের বাবাকে প্রথমে মারধর করে। এসময় তারা এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে বিকালে নুরুল হুদা তার দুই ছেলে মামুন ও মুন্না এবং ভাতিজা রমজানসহ একদল লোকজন নিয়ে এসে আবারও মারধর করে। এক পর্যায়ে তারা বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা পয়সা নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড ভাদুঘর এলাকার কাউন্সিলর মো. রফিকুল ইসলাম নেহার সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাটি তেমন কিছু নয়। দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি আলোচনা করে মীমাংসা করে দেওয়া হবে। হামলার শিকার পক্ষটি তার কাছে কোনও অভিযোগ নিয়ে আসেনি বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম উদ্দিন জানান, ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।