জানা গেছে, ওই গ্রামে কোরবানি ঈদের দিন দুস্থদের জন্য মাংস ভাগ করা নিয়ে আগের দ্বন্দ্বের মীমাংসা করতে শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে স্থানীয় চেয়ারম্যান মজিদের উপস্থিতিতে একটি সালিশ বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে এক পক্ষ সমাজ ভাগ করার প্রস্তাব দেন। বিষয়টির বিরোধিতা করেন আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান আলী। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে এ নিয়ে তর্ক বাঁধে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ওসমান আলীসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। হামলার পাশাপাশি ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওসমান আলীকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় রবিবার (২৫ আগস্ট) বিকাল পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর ওসমান আলীর লাশ রবিবার বিকালে শাহজাদপুরে আনা হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় তারাব আলী ও এরশাদ আলীসহ দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে নানা বিষয়ে হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরোধিতা করায় চেয়ারম্যানের লোকজন সালিস বৈঠকে তাকে পিটিয়ে গুরতর আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে তারাব আলী ও তার লোকজন আমার বিরোধিতা করে আসছেন। শনিবার সকালে সালিস বৈঠকে হঠাৎ তারা এসে কোনও কিছু না শুনেই আমার লোকজনের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।’
এ বিষয়ে ওসি আতাউর রহমান বলেন, ‘ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের সঙ্গে স্থানীয়দের নানা বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বে হামলা ও মামলার বিষয় নতুন কিছু নয়। অতীতেও তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এ ধরনের ডজন খানেক হামলা ও মামলার ঘটনা রয়েছে।’