ডাল রফতানির মতো অবস্থায় পৌঁছেছে দেশ: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিরাকৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ডালের উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে সরকার। এক সময় কানাডা থেকে প্রচুর পরিমাণ মশুর ডাল আমদানি করা হতো। এখন আমরা ডাল রফতানির মতো অবস্থায় পৌঁছেছি। ডালের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উপকূলীয় এলাকায় ডাল ও ভুট্টার উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করছে সরকার। অঞ্চলভিত্তিক নতুন নতুন ডালের জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অফিস কক্ষে ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পরিচালক প্রফেসর ড. উইলিয়াম ইরসকিন এর (টহরাবৎংরঃু ড়ভ ডবংঃবৎহ অঁংঃৎধষরধ উরৎবপঃড়ৎ চৎড়ভবংংড়ৎ উৎ.ডরষষরধস ঊৎংশরহব) নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্ততে বলা হয়, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা মূলত বাংলাদেশে ডাল নিয়ে গবেষণার কাজ করেন। ডাল গবেষণার জন্য বছরে তিন মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশকে দিয়েছে তারা। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, তারা পারস্পরিক সহযোগিতার মাধমে গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। তারা পরামর্শ দেন, বাংলাদেশের গবেষণার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতির প্রয়োজন নাই বরং গবেষক ও বিজ্ঞানীদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। উদ্ভাবিত নতুন ডালের জাত কৃষকদের কাছে পৌঁছাতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এক সময় দেশে মোট ডালের উৎপাদন হতো ২ থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন। এ বছর উৎপাদন হয়েছে ৮ লাখ মেট্রিক টন, যেখানে শুধু পটুয়াখালী জেলায় উৎপন্ন হয়েছে ২ থেকে ২ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন মুগ ডাল। আমরা মাসকালাইয়ের নতুন জাত উদ্ভাবন করেছি যা সহজে আবাদযোগ্য । ২০০৯ সালের আইলার আঘাতের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এখন সেখানে এক ফসলের পরিবর্তে বছরে তিনটি ফসল চাষ হচ্ছে। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন ড. এরিক হাটনার, ড. রিচার্ড জেমস, ড. এম জি নিয়োগি।