ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়াম সংলগ্ন কর্মচারী ক্লাবে অভিযান চালিয়ে জুয়ার আসর থেকে ছয় বহিরাগতসহ ২৮-৩০ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলে ১২ জনকে রেখে ঘটনাস্থল থেকে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পরের দিন সকালে ছয় কর্মচারীকে মুচলেকা নিয়ে প্রক্টরের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয় এবং বহিরাগত ছয়জনকে জুয়া আইনে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করে মৌখিক বক্তব্য পেশ করেন। রাষ্ট্রপক্ষের সিআই আসামিদের জামিনে বিরোধিতা করেন।
দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে রাজশাহী মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক নূর আলম মোহাম্মদ নিপু আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ক্লাবঘরটি বিনোদনের মাধ্যম হলেও তা বর্তমানে জুয়ার আসরের পরিণত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। প্রক্টরের সহযোগিতায় মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সিলগালার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত জুয়ার আসর থাকা হতাশাব্যঞ্জক ও দুঃখজনক বলেও উল্লেখ করেন আদালত।
সিলগালার বিষয়ে জানতে চাইলে মতিহার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের অনুমতি ব্যতিত এর অভ্যন্তরে অভিযান পরিচালনা করতে পারি না। প্রক্টর বিষয়টি অবগত রয়েছেন তার অনুমতি পেলে আমরা সিলগালা করবো।’
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনায় বলা হয়েছে প্রক্টরের সহযোগিতায় মতিহার থানার ওসিকে সিলগালা করতে। আমি ওসিকে বলেছি সিলগালার জন্য। তারা চলতি সপ্তাহে সিলগালা করবেন।’