প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপির একটি পক্ষ কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজের নেতৃত্বে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সভা শেষ করে থানা সড়কের দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির সদস্য মাহবুবার রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. নুরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য তবিবর রহমান মিনিসহ দলের প্রায় ৪০-৫০ জন নেতাকর্মী যাচ্ছিলেন। হঠাৎ পেছন থেকে ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ বাঁশ নিয়ে তাদের ধাওয়া করে।
এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় এবং তিনটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম সাইদুল বলেন, ঝিনাইদহ থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভা শেষে আমরা সাইফুল ইসলাম ফিরোজের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণভাবে দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। এরা সবাই হামিদুল ইসলাম হামিদের ক্যাডার। আমাদের পাল্টা প্রতিরোধের মুখে তারা পিছু হটে।
সাবেক ছাত্রনেতা হামিদুল ইসলাম হামিদ বলেন, আমি সংঘর্ষের বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। তবে রনি নামে আমার এক কর্মী আহত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, নবগঠিত ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভা শেষ করে দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে থানা সড়কের দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় হঠাৎ ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা সবাই ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে পদ না পাওয়া হামিদের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুচ আলী বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের সময় বিএনপির একপক্ষ অপরপক্ষকে লক্ষ্য করে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ছোড়ে।