বগুড়ায় নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান, দু’জনের জেল

উদ্ধার করা নকল ওষুধবগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জপাড়া ও ঠনঠনিয়ায় নকল ওষুধ তৈরির কারখানার সন্ধান মিলেছে। শনিবার রাতে র‌্যাব-১২ ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে পৃথক অভিযান চালিয়ে নকল কারখানার সন্ধান পায়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক নারীসহ দুইজনকে কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুর রহমান এ সাজা দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলো, বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জপাড়ার তাইজুল ইসলামের স্ত্রী কল্পনা বেগম (৪০) ও ঠনঠনিয়া হাজিপাড়ার আবদুর রশিদের ছেলে মো. শাহাদুজ্জামান (৩৫)। তাদের বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। জব্দ করা ওষুধগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়।
র‌্যাব-১২ বগুড়া স্পেশাল কোম্পানির কমান্ডার মেজর এসএম মোর্শেদ হাসান রবিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শহরের সুলতানগঞ্জপাড়ার নতুন ব্রিজ এলাকায় তাইজুল ইসলামের বাড়িতে মানুষ ও গবাদি পশুর চিকিৎসায় নকল ওষুধ তৈরি করা হয়। এসব ওষুধ শহরের কালিতলা হাট এলাকায় ভাড়া দোকানে তারা বিক্রি করে থাকে। পারিবারিক একটি মামলায় তাইজুল বর্তমানে কারাগারে। তার স্ত্রী কল্পনা বেগম নকল ওষুধ তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এখন। শনিবার রাতে গোপন খবর পেয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ ও ওষুধ তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। অনুনমোদিত ওষুধ উৎপাদন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কল্পনা বেগমকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এছাড়া ৪০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও চার মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে।
এছাড়া শহরের ঠনঠনিয়া হাজিপাড়া এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে একই অপরাধে শাহাদুজ্জামান নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে আট মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।