দুর্গোৎসবকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমাশিল্পীরা

প্রতিমাগুলো তৈরিতে দিনরাত কাজ করছেন শিল্পীরাএগিয়ে আসছে শারদীয় দুর্গোৎসব। তাই দেবী দুর্গার মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নীলফামারীর ছয় উপজেলার মৃৎশিল্পীরা। ৩ অক্টোবর শুরু হবে মহাষষ্ঠী। মহালয়ার দিন থেকে দেবী দুর্গার আগমনী উৎসব শুরু হয়। টানা পাঁচ দিনের উৎসব ও পূজা-অর্চনার পর ৮ সেপ্টেম্বর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ উৎসব।

নীলফামারী সদর উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, কাদামাটি, বাঁশ, খড়, সুতলি ও পাটের আঁশ দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় তৈরি করা হচ্ছে প্রতিমাগুলো। দিনরাত কাজ করছেন শিল্পীরা। দম ফেলারও যেন সময় নেই তাদের। 

নীলফামারী পৌর শহরের মিলন পল্লী ও দেবিরডাঙ্গায় সবচেয়ে বড় পূজা মন্দিরে মাটির কাঠামো নির্মাণের মূল কাজ শেষ হয়েছে। এখন বাকি রয়েছে শুধু রঙ-তুলির ছোঁয়া। তবে, সদরের রামনগর ইউনিয়নের বাহালীপাড়া কাছাড়ীবাজার পূজা মণ্ডপের মৃৎশিল্পী রমানাথ রায় জানান, কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি ও মেঘলা আকাশের কারণে প্রতিমা শুকাতে পারছেন না তারা।

জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট অক্ষয় রায় জানান, এবার জেলায় ৮৬০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, ‘জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে সব মণ্ডপে সর্বাধিক সহযোগিতা করা হবে। পূজায় যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে থানা পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের পাশাপাশি দায়িত্বে থাকবে আনসার, গ্রামপুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সদস্য।’

দুর্গাপূজা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিভাগীয় পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে রংপুরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেন ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য। এরপর একইভাবে জেলাপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

নীলফামারীর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, দুর্গোৎসবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এজন্য থানা পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, র‌্যাব, আনসার ও গ্রামপুলিশ মোতায়েন থাকবে। বিজয়া দশমী পর্যন্ত মণ্ডপগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হবে।

এছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স, ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে বলে জানান পুলিশ সুপার।