তিস্তা নদীতে নৌকাডুবে নিখোঁজ ৫

নৌকাডুবিতে নিখোঁজদের সন্ধান কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় তিস্তা নদীতে যাত্রীবাহী একটি নৌকা ডুবে গেছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশুসহ পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন। রবিবার (৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের বুড়িরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রাজারহাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘নৌকাডুবির ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়েছে কিনা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। নিখোঁজ যাত্রীদের সন্ধান করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। তবে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত পাওয়া খবরে ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে নিখোঁজ কারও সন্ধান মেলেনি। নৌকাটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, নৌকায় ২০ থেকে ২৫ জন যাত্রী ছিল। তারা বুড়িরহাট ঘাট থেকে পাশের একটি চরে যাচ্ছিলেন। এ সময় নৌকার মাঝি ঘাটে ছিলেন। নৌকা চালাচ্ছিলেন এক যাত্রী। কিছু দূর যাওয়ার পর স্রোতের টানে একটি বাঁধে ধাক্কা লেগে নৌকাটি ডুবে যায়। অনেকে সাঁতার কেটে তীরে উঠতে পারলেও চার থেকে পাঁচজন ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়া নৌকার মাঝি জাহেদুল বলেন, ‘সকালে ঘাটে নৌকা রেখে তিনি ইঞ্জিনের মবিল আনতে গেলে যাত্রীরা সবাই ওই নৌকায় উঠে বসেন। তিনি মবিল এনে ইঞ্জিনে ঢালার পর স্থানীয় এক যাত্রী নিজেই নৌকা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। এতে মাঝি জাহেদুল আপত্তি জানালেও স্থানীয় আরেক মাঝি বোচা তাকে ওই যাত্রীর কাছে নৌকা দিয়ে দিতে বলেন। পরে ওই যাত্রী নৌকা নিয়ে টি-বাঁধের কাছে গেলে স্রোতের টানে তিনি নৌকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এতে নৌকাটি বাঁধের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বেশির ভাগ যাত্রীকে উদ্ধার করলেও কয়েকজন ঘটনাস্থলেই ডুবে যান।’
স্থানীয় বাসিন্দা খবির উদ্দিন জানান, নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্যে জান্নাতুল আঁখি (১১) ও কবিরন (৭০) নামে দুই জনের নাম জানা গেছে। খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মেনহাজুল আলম ও রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।