দুর্গাপূজা শুরুর পর প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন সমবেত হন সীমান্তে। যাদের পাসপোর্ট রয়েছে তারা পারাপার করতে পেরেছেন। তবে অন্যদের কাঁটাতারের বেড়া এবং বিজিবি ও বিএসএফের কঠোর মনোভাবের কারণে সীমান্তের এপার থেকেই ওপারের পূজা দেখতে হয়েছে।
হিলি সীমান্তে আসা দর্শনার্থী শ্যামল ঘোষ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘দুর্গাপূজাকে ঘিরে প্রচুর হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সমাগম ঘটে এই সীমান্তে। কিন্তু যে আশায় আমরা এখানে আসি তা পূরণ হয় না। দুই পারের দুই বাংলা, মাঝখানে তারকাঁটার বেড়া। কিন্তু আমাদের মনকে তো আর ভাগ করতে পারেনি। নাড়ির টানে ছুটে এসেছি সীমান্তে।’
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে সীমান্তে আসা শর্মিলা ঠাকুর ও স্মৃতি বালা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, হিলি সীমান্তে এসেছেন পূজা দেখার জন্য। একইসঙ্গে ভারতে বসবাসকারী আত্মীয়দেরও দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিজিবি ও বিএসএফ অনুমতি না দেওয়ায় দেখা করা সম্ভব হয়নি।
হিলি সীমান্ত দিয়ে পাসপোর্টে ভারতে পূজা দেখতে যাওয়া পুষ্পা রানি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘আমার বাড়ি বগুড়ায়। শুনেছি ভারতের প্রতিমাগুলো অনেক ভালো ও মণ্ডপগুলো খুব সুন্দরভাবে সাজানো হয়। একারণেই প্রথমবাবের মতো পূজা দেখতে ভারতে যাচ্ছি।’ তার মতো ভারত থেকেও অনেকে পূজা দেখতে বাংলাদেশে আসেন।
বিজিবির হিলি আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার আলতাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর সংখ্যক মানুষ হিলি সীমান্তে আসছেন। এদের কেউ ভারতে তাদের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। আবার কেউবা সীমান্তের শূন্য রেখা ঘূরে দেখেছেন।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ওসি আব্দুস রফিকুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, দুর্গাপূজার সময় হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার আগের তুলনায় বেড়েছে।