সিঅ্যান্ডবি রোডের তন্ময় কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে বের হওয়া মিছিলটি ফরাজী ওয়ার্কশপ এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা করেন জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়িসহ অন্যরা। এ সময় বক্তারা বলেন, ‘বিচারহীনতার কারণে দেশে বারবার এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত দেশের জনগণ শান্তি পাবে না।’
অবিলম্বে আবরার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন তারা।
উল্লেখ্য, আবরার ফাহাদকে ৬ অক্টোবর রাতে তার রুম থেকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির মাঝখানের করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
এ হত্যার ঘটনায় ৭ অক্টোবর আবরারের বাবা বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।